Visit Our Educational Blog

Visit Our Educational Blog
A WAY TO LEARN & IMPROVE YOUR SKILLS ONLINE

Tuesday, May 22, 2018

বাঁচবো বাঁচাবো

এই কয়েক বছরের জীবনে এমন অনেক মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি, যাঁদের কখনও ভোলা যায় না। তাঁদের অনেককেই হয়তো সমাজের প্রতিষ্ঠিত লোকেরা চেনেনই না, অথচ তাঁরা নীরবে মানুসের সেবা করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তাঁরা যে মানুষ তৈরীর কারিগর! তাঁদের পরিচয় আজ আমি এখানে তুলে ধরছি না। আপনাদের সামনে আজ এটুকুই বলব যে, তাঁরা যে মানুষগুলোকে গড়ে তুলেছেন, সেই মানুষগুলোর কাছে তাঁদের পরিচয় অনস্বীকার্য্য, যেমন আমাদের "বাঁচবো বাঁচাবো" তে "দিদা"।

আসলে আজকাল মানুষ দ্রুততার জীবন (fast life) অতিবাহিত করে।  তারা নিজেদের জীবন নিয়েই ব্যস্ত। অন্যের জন্য ব্যয় করার মত সময় তাদের কাছে নেই।  আবার অনেকে আছেন যাঁদের দেখে সমাজ বলে ওঠে "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছে"।  আজ আমি যাঁদের কথা বললাম এবং বলবো তাঁরাও ঠিক ঐ দলের যাঁদের কাছে নিজের কাজের চেয়ে অন্যের কাজটা বড়। "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো" - কথাটার ব্যাখ্যা করা মুশকিল। যেমন ধরুন এরা নিজেরা একটু কম খেয়ে রাস্তার ভিখিরিটাকে দেওয়া পছন্দ করেন বা কোনো ভবঘুরের শীত করছে বলে, পরদিন যেভাবেই হোক একটা কম্বল জোগাড় করে তাকে দিয়ে আসে, কিংবা রাত একটার সময় ফোনের ওপাশ থেকে কেউ যদি বলে এক বোতল রক্তের বিশেষ প্রয়োজন তবে  তৎক্ষণাৎ তা জোগাড় করে দেবার যথাসাধ্য চেষ্টা করে। সে যাই হোক এগুলোই উপরিউক্ত প্রবচনের যোগ্য উদাহরণ। আরো বলা যায়, এই যেমন ধরুন, হয়তো কোন চা বাগান বন্ধ। সেখানে কতজন বাচ্চা না খেয়ে আছে, সেই হিসেব টা কে রাখবে ! সময় কোথায় ! সকাল বেলা উঠে জিম যেতে হবে, এসেই ছোটো অফিসে, আবার অফিস শেষ হতে না হতেই, একটু সিনেমা বা শপিং -  সত্যিই তো সময়ের বড্ড অভাব।

কিন্তু ওই মানুষটির কি স্বার্থ ছিল সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর ? তাঁর বাইকটাকে Ambaulance বানানোর।  সে তাঁর  প্রিয়জনকে হারিয়েছিল হাসপাতালের অভাবে, সেটা আলাদা ব্যাপার কিন্তু তার জন্য বীনা পারিশ্রমিকে রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেবে ! সত্যিই এদের না, খেয়ে দেয়ে কোনো কাজ নেই, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়।

আর ওই যে আরেকজন, উনি তো ভবঘুরেদের জন্য আশ্রম বানিয়েছেন, আবার লোকেদের থেকে জামা-কাপড় চেয়ে চেয়ে "ক্লথ ব্যাঙ্ক" বানিয়েছেন, আচ্ছা দরকারটা কি ছিল বলুনতো, আর কি করবে ?খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নেই, ঘরের খেয়.........

আচ্ছা একবার ভেবে দেখুন তো, এই মানুষগুলোর কি স্বার্থ জড়িয়ে আছে এই কাজগুলো করার পেছনে, না , স্বার্থ নেই, আছে শুধু ভালোবাসা, আছে মনুষ্যত্ব। তাঁরা বিলাসিতা বেছে নেননি। কি হবে এই বিলাসিতা দিয়ে ? সব্বাই তো একদিন জ্বলে যাবে, অথবা শুয়ে যাবে ধরিত্রীর বুকে, তাই যদি কিছু মানুষের করা যায় সামান্য উপকার, তবে নিজেকে ধন্য মনে করেন এনারা। হয়তো তার জন্যই এই মানুষগুলোর ত্যাগ স্বীকার। হয়তো এদের হাত ধরেই ভবিষ্যতে আসবে আরো ভালো মানুষ। আর ঠিক এই মানুষগুলোর মতোই তাঁদের হাত ধরে গড়ে উঠবে সুস্থ সমাজ।

আমি কিন্তু ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবো বলে ঠিক করলাম।

আর আপনারা ?
শুভজিত দেবনাথ




যেকোনো রকম প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাতে দ্বিধা করবেন না। আমরা সর্বদা আপনাদের সহায়তায় সচেষ্ট।
আপনাদের মূল্যবান মতামত ও প্রতিক্রিয়া জানাতে নিচে রিপ্লাই বক্সে কম্মেন্ট করুন।
সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের পরবর্তী পোস্ট প্রকাশিত হলে আপডেট পাওয়ার জন্য। ফলো এবং লাইক করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় , যুক্ত হন আমাদের facebook গ্রুপে। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। পরবর্তী পোস্ট নিয়ে খুব শীঘ্রই আসছি আপনাদের সামনে। ধন্যবাদ।
Please don’t hesitate to ask any question to let us know more about your requirements. We are always there to assist you to make you perform better.

Please comment in the comment box below or give us your valuable feedback.

Subscribe us to get updated & follow us on social media, join our Facebook group. Don’t forget to share with your friends. We will be coming soon with our next post. Thank you.


No comments:

Post a Comment